আন্তর্জাতিক

আমরা যুদ্ধ ও আগ্রাসন সমর্থন করি না: শেখ হাসিনা

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা সব সময় বিশ্বাস করি, আলোচনার মাধ্যমে যেকোনও সংকট সমাধান সম্ভব। যুদ্ধের কারণে পুরো বিশ্বকে ভুগতে হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে পুরো বিশ্বকে এগিয়ে আসতে হবে।’ মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি। সম্প্রতি নেওয়া ওই সাক্ষাৎকারের প্রথম পর্ব সম্প্রচার করেছে সংবাদ মাধ্যমটি।

ইউক্রেনে চলা যুদ্ধে বাংলাদেশ কেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়নি, শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে প্রশ্ন রাখেন সিএনএনের সাংবাদিক। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোনও দেশ একা যুদ্ধ শুরু করতে পারে না। আমরা যুদ্ধ ও আগ্রাসন কখনোই সমর্থন করি না। আলোচনার মধ্যেই শান্তি রয়েছে। সংকট নিরসনে পুরো বিশ্বকেই উদ্যোগ নিতে হবে। মস্কো ও কিয়েভের সংঘাতের কারণে ভুগতে হচ্ছে পুরো বিশ্বকে। নিজেদের ভূখণ্ডে স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার অধিকার প্রত্যেকটা দেশের আছে।’

রাশিয়ার মিত্র বেইজিংয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বেড়ে যাওয়ার কারণেই কী মস্কোর বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছে না ঢাকা? এমন প্রশ্নে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা সবার সঙ্গেই সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করি। বিশেষ করে যারা আমাদের উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখে। যেমন— যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, ভারত সবার সঙ্গেই।

শেখ হাসিনা বলেন, চীন আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। তারা আমাদের দেশে বিনিয়োগ করছে। আমাদের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। কিন্তু আমরা কারও ওপর নির্ভর নই।

শ্রীলঙ্কার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদিও বেইজিংয়ের ঋণের চাপে পড়ে ভুগতে হচ্ছে দেশটিকে (শ্রীলঙ্কা)। এ বিষয়ে আমরা সতর্ক আছি। যে প্রজেক্ট আমাদের দেশের উন্নয়নের ভূমিকা রাখে সেগুলো অনুমোদন দিই। ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা বিশ্ব ব্যাংক, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংককে (এডিবি) প্রাধান্য দিয়ে থাকি। আমার মনে হয় না, শ্রীলঙ্কার অবস্থায় যাবে আমাদের দেশ। আমরা নিজেদের সম্পদ কাজে লাগানোর চেষ্টা করি। অপ্রয়োজনীয় কোনও ঋণ বা প্রকল্প হাতে নিই না।

এসময় সিএনএনের সাংবাদিক বলেন, বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয়ে থাকার পরও প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাদের ফিরিয়ে নিচ্ছে না মিয়ানমার। এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে কী ধরনের সহায়তা আশা করে?

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরাতে নেপিদোর ওপর চাপ সৃষ্টি করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানাচ্ছি। সংকট সমাধানে আমরা নিজেরাও মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করেছি, কিন্তু তারা কোনও সহযোগিতা করছে না। বাংলাদেশ চীনকেও অনুরোধ করেছে যেন নেপিদোর ওপর চাপ সৃষ্টি করে। আসিয়ানের অন্যান্য দেশের সহায়তা চাওয়া হয়েছে, তারাও যেন এগিয়ে আসে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দুঃখের বিষয় হলো, সামরিক শাসনে থাকা মিয়ানমার কারও কথা শুনছে না। তারা টালবাহানা করে আসছে শুরু থেকেই। রোহিঙ্গারা আমাদের দেশের জন্য বড় বোঝা। তাদের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। অনৈতিক এবং আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়েছে তারা। এতে ঝুঁকিতে পড়ছে সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

Source link

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Stream TV Pro News - Stream TV Pro World - Stream TV Pro Sports - Stream TV Pro Entertainment - Stream TV Pro Games - Stream TV Pro Real Free Instagram Followers PayPal Gift Card Generator Free Paypal Gift Cards Generator Free Discord Nitro Codes Free Fire Diamond Free Fire Diamonds Generator Clash of Clans Generator Roblox free Robux Free Robux PUBG Mobile Generator Free Robux 8 Ball Pool Brawl Stars Generator Apple Gift Card Best Android Apps, Games, Accessories, and Tips Free V Bucks Generator 2022