
ইউক্রেনকে জেতাতে ইউরোপীয় নেতাদের অঙ্গীকার
চলমান যুদ্ধে ইউক্রেন যেন রাশিয়াকে পরাজিত করতে পারে, সে জন্য সাহায্যের অঙ্গীকার করেছেন কিয়েভ সফররত চার ইউরোপীয় নেতা। ইউক্রেন পুনর্গঠনের অঙ্গীকারও করেছেন তাঁরা।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ, জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ ও ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি বৃহস্পতিবার একসঙ্গে একটি ট্রেনে চড়ে কিয়েভে পৌঁছেন। রোমানিয়ার প্রেসিডেন্ট ক্লাউস লোহানিসও এদিনই সেখানে পৌঁছেন, তবে আলাদাভাবে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু হওয়ার পর ইউরোপের ওই চার ইউরোপীয় নেতার এটাই প্রথম কিয়েভ সফর। সফরকালে তাঁরা রুশ হামলায় বিধ্বস্ত বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন। পরে তাঁরা বৈঠকে বসেন। বৈঠকে কিয়েভের ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দেওয়া ও যুদ্ধ নিয়ে কথা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। এ ছাড়া ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি তাঁর সেনাবাহিনীর জন্য আরো অস্ত্র পাঠাতে চার নেতাকে চাপ দেবেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
রুশ হামলায় বিধ্বস্ত স্থান পরিদর্শনের সময় ফ্রান্সের রাষ্ট্রপ্রধান ম্যাখোঁ সাংবাদিকদের বলেন, ‘ফ্রান্স প্রথম দিন থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে আছে। আমরা কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছাড়াই ইউক্রেনের সঙ্গে আছি। ইউক্রেনকে অবশ্যই প্রতিরোধ করতে হবে এবং জিততে হবে। ’
ইতালির সরকারপ্রধান দ্রাঘি বলেন, ‘তারা (রুশ বাহিনী) শিশু শিক্ষালয় ধ্বংস করেছে, তারা খেলার মাঠ ধ্বংস করে। সব কিছু পুনর্গঠন করা হবে। ’ তবে জার্মানি কিংবা রোমানিয়ার নেতার মন্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে মেলেনি।
যুদ্ধে ইউক্রেনকে সহায়তার ব্যাপারে ইউরোপ তৎপর নয়, কিয়েভের এমন অভিযোগের মধ্যে চার ইউরোপীয় নেতা কিয়েভ সফরে গেলেন। কিয়েভের অভিযোগ, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইতালি ইউক্রেনকে সহায়তা করার ব্যাপারে কালক্ষেপণ করছে। ইউক্রেনের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার চেয়ে এসব দেশ নিজেদের সমৃদ্ধিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে এবং অস্ত্র সরবরাহে দেরি করছে।
এ সফর প্রসঙ্গে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের এক কর্মকর্তা বলেছেন, আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠেয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) শীর্ষ সম্মেলনের আগে কিয়েভ সফরের সেরা সময় বলে বিবেচনা করেছেন সংশ্লিষ্ট নেতারা। ওই সম্মেলনে ইউরোপীয় জোটটিতে ইউক্রেনের যোগ দেওয়ার আবেদন নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা আছে।