
এবার বোর্ডের মুখোমুখি হতে চলেছেন ডমিঙ্গো
বোর্ড-ক্রিকেটার মুখোমুখি অবস্থানের আগুনে ঘি ঢালতে যে এবার যোগ দিয়েছেন রাসেল ডমিঙ্গোও। বিশ্বকাপ শেষে দেশে ফেরার কিছুদিনের মধ্যেই পাকিস্তানের বিপক্ষে হোম সিরিজ। সেই সিরিজ সামনে রেখে অনুশীলনের সূচি নির্ধারণ করা নিয়েই ভেতরে ভেতরে লেগে গেছে ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির প্রধান আকরাম আর জাতীয় দলের হেড কোচের মধ্যে।
১২ নভেম্বর থেকে অনুশীলন শিবির করার তারিখ ঘোষণা করে দিয়েছেন আকরাম। এটা আবার ভালোভাবে নিতে পারেননি ডমিঙ্গো। এর প্রতিক্রিয়ায় এই প্রোটিয়া কোচ পাল্টা যা করেছেন, তা-ও বোর্ডের অনেকের চোখে ‘ঘোড়া ডিঙিয়ে’ যাওয়ার মতো ব্যাপারই। আকরামের সঙ্গে নয়, ডমিঙ্গো সরাসরি যোগাযোগ করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে।
এমনিতে জাতীয় দলের জন্য যেকোনো পরিকল্পনা ঠিক করার আগে হেড কোচের সঙ্গে আলাপ করে নেওয়ার রেওয়াজ আছে। তাঁর পরামর্শকে গুরুত্বও দেওয়া হয়। দলের টানা হারে এবার সেই গুরুত্ব হারানো ডমিঙ্গো দুবাইতেই অবস্থান করা আকরামের সঙ্গে কথা না বলে শরণাপন্ন হন দেশে থাকা প্রধান নির্বাহীর, যা নিয়ে দলের বাজে সময়ের মধ্যেও আরেক দফা বিষবাষ্প ছড়ানো স্বাভাবিক। সময় প্রতিকূল বলেই হয়তো এ বিষয়ে ঝাঁজালো প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেল না আকরামের। তবে অনুশীলন সূচি নিয়ে প্রধান নির্বাহীর সঙ্গে ডমিঙ্গোর সরাসরি যোগাযোগের বিষয়টি স্বীকার করলেন তিনি, ‘আমি জেনেছি যে ডমিঙ্গো নাকি প্রধান নির্বাহীকে ই-মেইল করেছেন।
তবে সেই ই-মেইলেও যে অনুশীলনের সূচি বদলাচ্ছে না, সেটির নিশ্চয়তাও দিয়ে রাখলেন আকরাম, ‘এমন নয় যে আমরা ওনার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলিনি। কিন্তু তিনি অনুশীলন শিবির শুরু করতে চেয়েছেন ১৬ নভেম্বর থেকে। আর খেলা শুরু ১৯ নভেম্বর। মাত্র তিন দিনের প্রস্তুতিতে পাকিস্তানের মতো দলের বিপক্ষে আপনি খেলতে নামবেন, এটা হয় নাকি?’ ডমিঙ্গোর দাবি যৌক্তিক মনে হয়নি বলেই যে নিজেরা অনুশীলন শিবির শুরুর দিন-তারিখ ঘোষণা করে দিয়েছেন, সেটিও জানাতে ভুললেন না আকরাম।
বিশ্বকাপে আসার আগেই বোর্ডের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ আর বেতন, দুটিই বাড়ানোর কথা পাকা করে আসা ডমিঙ্গোর পায়ের নিচের শক্ত মাটিও তাতে এখন অনেকটা নরম হয়ে গেল। দলের পারফরম্যান্সের সঙ্গে যে ওঠা-নামা করে তাঁর গুরুত্বও!