
কেন স্কুইড গেম নেটফ্লিক্সের এক নম্বর র্যাংকিংয়ে
নেটফ্লিক্সের ‘স্কুইড গেম’ এই মুহূর্তে সবচেয়ে আলোচিত শো-গুলোর একটি। বিশ্বব্যাপী সাম্প্রতিক এমন আলোড়ন খুব কম সিরিজই তুলতে পেরেছে। কিন্তু কেন এত জনপ্রিয় হয়ে উঠলো দক্ষিণ কোরিয়ার এই ড্রামা? ১৭ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাওয়া এই সিরিজ সম্পর্কে নেটফ্লিক্সের কো-সিইও টেড সাদান্দোস ভবিষ্যদ্বাণী করে বলেছিলেন, ‘এটি সর্বকালের রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে পারে।’ তখন বিষয়টি অনেকে হালকাভাবে নিলেও এখন আর হালকা ভাবে নেয়ার সুযোগ নেই।
স্কুইড গেমের ৪৫৬ প্রতিযোগীর সবাই ঋণে জর্জরিত। তারা সবাই ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া। এ খেলা জীবন বাজি রেখে মরা-বাঁচার লড়াই। ছয়টি খেলার এ সিরিজ জিতলে বিজয়ীর হাতে আসবে ৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার। আর হারলে মৃত্যু অবধারিত।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ গেম সিরিজের সাফল্যের চাবিকাঠি হলো এর চরিত্রদের বেশির ভাগই সমাজের প্রান্তিক মানুষ। তাদের সবাই বিশাল আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত হলেও তারা সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। সিরিজটির প্রধান চরিত্র একজন বেকার, যার জুয়ার সমস্যা রয়েছে। ফলে পরিবারের কারোর কাছ থেকে সে সম্মান পায় না। এ গেম সিরিজে সে দেখা পেয়েছে একজন তরুণের, যে উত্তর কোরিয়া ত্যাগ করে দক্ষিণে চলে এসেছে। তার জীবনের ওপর দিয়ে অনেক ঝড় বয়ে গেছে। তার সঙ্গে দেখা আরেকজন পাকিস্তানি শ্রমিকের, যার মালিক তার সঙ্গে খুব দুর্ব্যবহার করেন।
এ সিরিজের একটি দৃশ্যে দেখানো হয় একটি গুরুত্বপূর্ণ ফোন নাম্বার। গেমসে অংশ নেয়াদের সেই নাম্বারে কল করতে বলা হয়। বাস্তবে সেই নাম্বারটি একজন নারীর। সেই নারীর অভিযোগের পরে নেটফ্লিক্স কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওই অংশটি এডিট করে ফোন নাম্বারটি মুছে দেয়ার। ওই নারী বলেছেন, এটি বাস্তবে তার ফোন নাম্বার। আর তিনি ফোনকল সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। দক্ষিণ কোরীয় এই সিরিজে দেখানো হয়, ঋণে জর্জরিত প্রতিযোগীদের একটি গেম বা খেলায় অংশ নেয়ার জন্য একটি নাম্বারে ফোন করতে বলা হয়। বিজয়ীর জন্য থাকে বিশাল অংকের নগদ অর্থ পুরস্কার। দর্শকরা সেই নাম্বারেই ফোন দিয়ে অতিষ্ঠ করে ফেলছেন এর প্রকৃত মালিককে। দক্ষিণ কোরিয়ার ওই নারী দাবি করছেন, ফোন নাম্বারটি বাস্তবেই তার। আর বহু মানুষ এখন তার নাম্বারে কল করে খেলায় অংশ নেয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওই নারী স্থানীয় সংবাদমাধ্যম মানি টুডেকে বলেন, তার ফোনে তিনি হাজার হাজার মেসেজ ও ফোনকল পাচ্ছিলেন। মেসেজ ও কলের সংখ্যা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে তার প্রাত্যহিক জীবন বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল।
‘স্কুইড গেম’-এর সিকুয়েল নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। এই প্রসঙ্গে ‘ভ্যারাইটি’কে নির্মাতা জানিয়েছেন, ‘স্কুইড গেম টু’ তৈরির পরিকল্পনা এখনও করেননি তিনি। এটা নিয়ে ভাবতেও এখন ক্লান্ত লাগছে তার।