
গরিব ছিলাম গরিব হওয়ার কষ্ট বুঝি
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘গরিব হওয়ার কষ্ট আমি বুঝি। নিজে গরিব ছিলাম। আমি জানি, এ থেকে মুক্তি পেতে হলে সবাইকে একসঙ্গে এগিয়ে নিতে হবে। এ জন্য এই বাজেট দেশের সব মানুষের সহায়ক বাজেট। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর বাজেট।
জাতীয় সংসদে উত্থাপিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ মন্তব্য করেন। রীতি অনুযায়ী সংসদে বাজেট উত্থাপনের পরদিন আজ শুক্রবার এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আজ বিকেলে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .
সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম। মঞ্চে আরও ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, অর্থসচিব আবদুর রউফ তালুকদার এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন। তবে আগের মতো আমলাদের জন্য পৃথক টেবিল ছিল না, একই টেবিলে বসেছিলেন মন্ত্রী ও আমলারা।
টাকা পাচারের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘টাকার ধর্ম হলো যেখানে সুখ বেশি, সেখানে চলে যায়। এ জন্য আমরা ধারণা করছি, টাকা পাচার হয়েছে। এ জন্য ফেরত আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত অনেকেই জেলে আছেন। এই টাকা মানুষের হক। এতে বাধা দেবেন না। টাকা ফেরত না এলে আপনাদের (সাংবাদিকদের) লাভ কী। বিশ্বের ১৭টি দেশ এভাবে টাকা ফেরত আনার উদ্যোগ নিয়েছে।
আলোচিত প্রশান্ত কুমার হালদারের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘তাঁর টাকা ভারত থেকে ফেরত আসবে। তাঁকেও ফেরত পাঠাবে। কানাডায় যে টাকায় বাড়ি করেছে, সেই টাকাও ফেরত আসবে। এ নিয়ে আমরা কথা বলছি।
যাঁরা টাকা ফেরত আনবেন, তাঁরা সুরক্ষা পাবেন কি না, এ প্রশ্ন করা হলে তার উত্তর দেওয়ার দায়িত্ব পড়ে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের ওপর। তিনি বলেন, ‘এবার যাঁরা টাকা ফেরত আনবেন, তাঁরা সংসদের মাধ্যমে আইন দ্বারা সুরক্ষিত হবেন। ফলে তাঁদের সুরক্ষা নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। আগের ট্রুথ কমিশন কোনো আইনে স্বীকৃত ছিল না।
এ প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘তখন দেশে সাংবিধানিক সরকার ছিল না। এখন ধারাবাহিক সাংবিধানিক সরকার আছে। ফলে যাঁরা টাকা ফেরত আনবেন, তাঁদের কোনো সমস্যা হবে না।