
চট্টগ্রাম ওয়াসার জায়গায় কর্মচারীদের দোকান: কর্তৃপক্ষ বলছে বিধিসম্মত নয়
কোথাও তৈরি করা হয়েছে দোকান। কোথাও ইট–বালু–সিমেন্ট দিয়ে চলছে দোকানঘর নির্মাণের কাজ। চট্টগ্রাম ওয়াসার জায়গায় অনুমতি না নিয়ে এসব দোকানঘর তৈরি করছেন কর্মচারীরা। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কারও বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। শুধু চিঠি দিয়েই তারা দায় সারছে।
চট্টগ্রাম নগরের তিনটি স্থানে ওয়াসার জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণ করছে দি ওয়াসা এমপ্লয়িজ কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড নামের কর্মচারীদের একটি সংগঠন। নগরের বলিরহাট এলাকার ১৬ নম্বর পাম্পের পাশে ৭টি দোকান নির্মাণের কাজ এখন চলছে।
এ ছাড়া মনসুরাবাদ পাম্পের পাশে ৫টি ও পলিটেকনিক মোড়ের পাশে ওয়াসা কলোনির সামনে ২ দুটি দোকান ইতিমধ্যে তৈরি হয়ে গেছে। ওয়াসার জায়গা দখল করে এসব দোকান নির্মাণের বিষয়ে সংস্থাটির এস্টেট শাখা থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি ওই সংগঠনটিকে চিঠি দিয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, অনুমতি না নিয়ে সংগঠনটি ওয়াসার বিভিন্ন জায়গায় দোকানঘর নির্মাণ করেছে, যা সংস্থার বিধিসম্মত নয়। ফলে অনুমতি না নিয়ে এ ধরনের কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কিন্তু এরপরও নির্মাণকাজ চালিয়ে গেছে সংগঠনটি।
গতকাল সোমবার তিনটি এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বলিরহাটে দোকানগুলোর কাঠামো তৈরি হয়ে গেছে। ইটের দেয়াল তৈরি করা হয়েছে। মনছুরাবাদের পাঁচটি দোকান গত ডিসেম্বরে নির্মাণ হয়েছে। নির্মাণকাজ শেষে চালু হয়েছে পলিটেকনিক মোড়ের দোকান দুটিও।
মনসুরাবাদ এলাকায় আসবাবের দোকান নিয়ে বসেছেন মো. সাদ্দাম ও মো. আলমগীর নামের দুই ব্যক্তি। মো. সাদ্দাম প্রথম আলোকে বলেন, তিনি তিনটি দোকান নিয়েছেন। মোট ৭ লাখ টাকা অগ্রিম দিয়ে দি ওয়াসা এমপ্লয়িজ কো-অপারেটিভ সোসাইটির কাছ থেকে এসব দোকান নেন তিনি।
মাসে ভাড়া দিতে হয় তিনটি দোকানের জন্য মোট ১০ হাজার টাকা। ওয়াসা এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সভাপতি এস এম নুরুল ইসলামের অভিযোগ, ওয়াসার গুটিকয় কর্মকর্তাও দোকান নির্মাণ-বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। নয়তো এ ধরনের অবৈধ কাজ করা সম্ভব হতো না।
তবে দোকান নির্মাণের বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে মন্তব্য করতে রাজি হননি দি ওয়াসা এমপ্লয়িজ কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সভাপতি মো. রেজোয়ান। তিনি অসুস্থ আছেন বলে ফোন কেটে দেন। আর ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম ফজলুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, অনুমতি না নিয়ে দোকানঘর নির্মাণ করার সুযোগ নেই। এ কারণে ওই সংগঠনকে অনুমতি ছাড়া এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।