আন্তর্জাতিক

দেশ পরিচিতি: বুলগেরিয়া

পূর্ব বলকানে অবস্থিত দেশ বুলগেরিয়া। কমিউনিস্ট শাসনের অবসানের পর থেকে দেশটির বাজার অর্থনীতি একটি ধীর এবং বেদনাদায়ক রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

বুলগেলিয়া প্রধানত স্লাভোনিক ভাষাভাষী, অর্থোডক্স খ্রিস্টান দেশ। এটি ছিল সিরিলিক বর্ণমালার জন্মস্থান। যা নবম শতাব্দীর শেষের দিকে এই অঞ্চলে তৈরি হয়েছিল।

এটি দীর্ঘকাল বাইজেন্টাইন সংস্কৃতি দ্বারা প্রভাবিত ছিল। ১৯ শতকে স্বাধীনতা লাভের আগে ৫০০ বছর ধরে দেশটির অটোমান সাম্রাজ্যের অংশ ছিল।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটি সোভিয়েত ইউনিয়নের ওপর নির্ভরশীয় হয়ে ওঠে। কিন্তু এখন এটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং ন্যাটো জোটের সদস্য দেশ।

বুলগেরিয়া সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

রাষ্ট্রীয়নাম: রিপাবলিক অব বুলগেরিয়ারাজধানী: সোফিয়াআয়তন: ১ লাখ ১০ হাজার ৯১৩ কিলোমিটারজনসংখ্যা: ৬৫ লাখভাষা: বুলগেরিয়ানগড় আয়ু: ৭৭ বছর (পুরুষ), ৬৯ বছর (নারী)মুদ্রা: বুলগেরিয়ান লেভ

 

নেতৃত্ব

প্রেসিডেন্ট রুমেন রাদেভ

২০১৭ সালের জানুয়ারিতে বুলগেরিয়ার গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত পঞ্চম প্রেসিডেন্ট রুমেন রাদেভ। ওই সময় তিনি পাঁচ বছরের মেয়াদে শপথ নেন।

বিমানবাহিনীর সাবেক কমান্ডার রাদেব রাজনীতিতে একজন অপেক্ষাকৃত নবাগত। বিরোধী সমাজতন্ত্রীদের সমর্থনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছিলেন।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার বিজয়ের ফলে প্রধানমন্ত্রী বয়কো বোরিসভের পদত্যাগ এবং আগাম সংসদ নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যায় দেশটি।

রাদেভ রাশিয়ার সঙ্গে ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উন্নত করার পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ন্যাটোর সদস্য হিসেবে বুলগেরিয়ার অবস্থান বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী (তত্ত্বাবধায়ক) গালাব ডোনেভ

প্রধানমন্ত্রী (তত্ত্বাবধায়ক) গালাব ডোনেভ

২০২২ সালের জুনে কিরিল পেটকভের নেতৃত্বে একটি জোট সরকার অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরে প্রেসিডেন্ট রুমেন রাদেভ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে গালাব ডোনেভকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করেছিলেন।

দুই বছরের মধ্যে ২০২৩ সালের এপ্রিলে বুলগেরিয়ার পঞ্চম সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও কোনও সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বয়কো বোরিসভের মধ্য-ডান গার্ব পার্টির নেতৃত্বে একটি জোট ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট জিতেছে। প্রাথমিক ফলাফল অনুসারে, উই কন্টিনিউ দ্য চেঞ্জের নেতৃত্বে একটি পশ্চিমাপন্থি সংস্কারবাদী জোট পেয়েছে ২৪ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট।

এই সর্বশেষ নির্বাচনের আগে রাদেভ বলেছিলেন, তিনি নতুন সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত দেশটির নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী গালাব ডোনেভকে পুনরায় নিয়োগ করবেন।

বোরিসভ ২০০৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনটি মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার শেষ মন্ত্রিসভা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নাটকীয়ভাবে হ্রাস পেয়েছিল। ২০২০ সালে ব্যাপক বিক্ষোভের সূচনা করে এমন কয়েকটি দুর্নীতির কথা প্রকাশ হয়।

ডেমোক্র্যাসি অ্যাডভোকেসি গ্রুপ ফ্রিডম হাউজ-এর গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হ্রাস, সংস্কার বন্ধ এবং কর্তৃত্বের অপব্যবহারের উল্লেখ করে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার ক্রমাগত অবনতির কথা জানিয়েছে।

মিডিয়ার মালিকানা মুষ্টিমেয় ব্যক্তির মধ্যে কেন্দ্রীভূত

সংবাদমাধ্যম

বুলগেরিয়ার মিডিয়া মার্কেটে বৈশ্বিক মিডিয়া জায়ান্টদের একটি অংশীদারত্ব রয়েছে৷ টিভি সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম।

আন্তর্জাতিক মিডিয়া গ্রুপ সিএমই বিটিভি পরিচালনা করে। এটি বুলগেরিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় চ্যানেল। স্ক্যান্ডিনেভিয়ান কোম্পানি এমটিজি জাতীয় স্টেশন নোভা টিভি পরিচালনা করে।

বেশ কিছু বেসরকারি আঞ্চলিক টিভি এবং অনেক বেসরকারি রেডিও স্টেশন রয়েছে। কেবল এবং স্যাটেলাইট হলো প্রধান সম্প্রচারমাধ্যম। মিডিয়ার মালিকানা মুষ্টিমেয় ব্যক্তির মধ্যে কেন্দ্রীভূত।

সোফিয়াতে অবস্থিত সেন্ট আলেক্সান্ডার নেভস্কি গির্জা

বুলগেরিয়ার ইতিহাসে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা

১০১৮-১১৮৫: বুলগেরিয়া বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের অংশ।

১৩৯৬: অটোমান সাম্রাজ্য বুলগেরিয়া দখল করে। পরবর্তী পাঁচ শতাব্দী ‘তুর্কি জোয়ালের’ যুগ হিসেবে পরিচিত।

১৮৭৬: অটোমান শাসনের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী বিদ্রোহ সহিংসভাবে দমন করা হয়।

১৮৭৮: সান স্টেফানোর চুক্তি- ১৮৭৭-৭৮ সালের যুদ্ধের শেষে রাশিয়া এবং তুরস্ক স্বাক্ষরিত চুক্তিতে বুলগেরিয়াকে একটি স্বায়ত্তশাসিত হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

১৯০৮: বুলগেরিয়া নিজেকে একটি স্বাধীন দেশ ঘোষণা করে। সাক্সে-কোবুর্গ-গোথার ফার্ডিনান্ড জার উপাধি গ্রহণ করেন।

১৯১৪-১৮: প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। বুলগেরিয়া ছিল জার্মানির মিত্র। প্রায় ১ লাখ বুলগেরীয় সেনা নিহত হয়। যা যুদ্ধে জড়িত যেকোনও দেশের মাথাপিছু ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে সবচেয়ে বেশি।

১৯৩৯-৪৫: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ – ১৯৪৪ সালে সোভিয়েত সেনাবাহিনী জার্মান-অধিকৃত বুলগেরিয়া আক্রমণ করে। সোভিয়েত-সমর্থিত ফাদারল্যান্ড ফ্রন্ট ক্ষমতা নেয়।

১৯৪৭: সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নতুন সংবিধান এক-দলীয় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে।

১৯৯১: নতুন সংবিধান বুলগেরিয়াকে একটি সংসদীয় প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করে এবং বিস্তৃত স্বাধীনতা প্রদান করে।

২০০৪: বুলগেরিয়া ন্যাটোতে যোগ দেয়

২০০৭:  বুলগেরিয়া এবং রোমানিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদান করে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য সংখ্যা বেড়ে হয় ২৭। 

Source link

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Stream TV Pro News - Stream TV Pro World - Stream TV Pro Sports - Stream TV Pro Entertainment - Stream TV Pro Games - Stream TV Pro Real Free Instagram Followers PayPal Gift Card Generator Free Paypal Gift Cards Generator Free Discord Nitro Codes Free Fire Diamond Free Fire Diamonds Generator Clash of Clans Generator Roblox free Robux Free Robux PUBG Mobile Generator Free Robux 8 Ball Pool Brawl Stars Generator Apple Gift Card Best Android Apps, Games, Accessories, and Tips Free V Bucks Generator 2022