আন্তর্জাতিক

দেশ পরিচিতি: ভুটান

চীন ও ভারতের মাঝামাঝি অবস্থিত দক্ষিণ এশিয়ার ছোট্ট রাজতান্ত্রিক দেশ ভুটান। প্রাতিষ্ঠানিক নাম ভুটান হলেও স্থানীয়দের কাছে ‘ড্রাক ইয়ুল’ নামে পরিচিত দেশটি। ‘ড্রাক ইয়ুল’ অর্থ, ‘বজ্র ড্রাগনের দেশ’। গত কয়েক শতাব্দী ধরে বহির্বিশ্ব থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন ছিল দেশটি। নিজেদের ঐতিহ্য রক্ষায় সব সময় সোচ্চার ছিল ভুটানের জনগণ। ফলে অন্য দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে বেশি দিন লাগেনি। ১৯৭০ এর দশক থেকে দেশটিতে পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হয়।

১৯০৭ সাল থেকে দেশটির রাজতন্ত্রে ওয়াংচুক বংশ ক্ষমতায় রয়েছে। কিন্তু ২০০৮ সালের মার্চে নির্বাচনের পর থেকে নেপালে দুই কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা বিদ্যমান রয়েছে।

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

রাজধানী: থিম্পুআয়তন: ৩৮ হাজার ৯৩৪ বর্গ কিলোমিটারজনসংখ্যা: প্রায় ৭ লাখ ৭৭ হাজার ৪০০ ভাষা: দোজংখা গড় আয়ু: পুরুষদের ৬৮ বছর, নারীদের ৭১ বছর

নেতৃত্ব

সাংবিধানিক রাজতান্ত্রিক দেশটির বর্তমান রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক। ২০০৬ সালে তার পিতা জিগমে সিংগে ওয়াংচুক অবসর গ্রহণের পর থেকে ক্ষমতায় রয়েছেন তিনি। 

এক সময় সর্বময় ক্ষমতার অধিকারি থাকলেও ১৯৯৮ সালে সরকার, আইনসভা ও উপদেষ্টা পরিষদের হাতে আংশিক ক্ষমতা ছেড়ে দেন তৎকালীন রাজা। 

‘বজ্র ড্রাগনের দেশ’ নামে পরিচিত নেপালের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং।

নেপালের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং। ছবি: সংগৃহীত

২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভুটান ইউনাইটেড পার্টি থেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিজয়ী হন তিনি। তার আগে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন পিপল’স ডেমোক্রেটিক পার্টির শেরিং তোবগে।

সংবাদমাধ্যম

১৯৯৯ এর আগে রাজতান্ত্রিক দেশটিতে কোনও সংবাদমাধ্যম ছিল না। বহির্বিশ্বের প্রভাবে নেপালের রাজতন্ত্র ও ঐতিহ্য নষ্ট হওয়ার ভয়ে বছরের পর বছর অন্যান্য দেশের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল ভুটানের। ১৯৭৩ সালে দেশটিতে রেডিও সম্প্রচার শুরু হয়। ১৯৯৯ সালে ইন্টারনেট পৌঁছায় রাজধানী থিম্পুতে। 

দেশটির ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা

পর্যটনের জন্য সুনাম রয়েছে ভুটানের

১৭২০: চীনা সাম্রাজ্য দখল করে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে নেপাল 

১৭৭২-৭৩: ব্রিটিশরা আগ্রাসন চালায় 

১৮৬৪-৬৫: আবারও হামলা চালায় ব্রিটেন

১৯০৭: উজিয়েন ওয়াংচুককে রাজা নির্বাচিত করা হয়।

১৯১০: ব্রিটেনের সঙ্গে বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক চুক্তি সই করে। 

১৯৪৯: ভুটানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা থেকে ভারতকে বিরত রাখতে দিল্লির সঙ্গে চুক্তি সই করে। তবে বৈদেশিক সম্পর্কের প্রভাব বিস্তারে অনুমোদন দেয় নব্য স্বাধীন দেশ ভারতকে।

১৯৫৮: ভুটানের দাসপ্রথা বিলুপ্ত হয়।

১৯৭৪: অন্য দেশ থেকে প্রথম কোনও পর্যটককে দেশটিতে প্রবেশের অনুমোদন দেওয়া হয়।

১৯৮৮: আদমশুমারির মাধ্যমে জাতিগত অনেক নেপালিকে অবৈধ অভিবাসী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সরকার তিব্বত-ভিত্তিক ভুটানি সংস্কৃতিকে চাপে ফেলার জন্য আরও অনেক ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয় যা সংখ্যালঘু নেপালি সম্প্রদায়কে ক্ষুব্ধ করে। 

১৯৯০: সংখ্যালঘুদের মধ্যে অস্থিরতা ও সরকারবিরোধী বিক্ষোভের মধ্যে হাজার হাজার সংখ্যালঘু নেপালি দেশ ছেড়ে পালায়।

১৯৯৮: পার্লামেন্টের হাতে আংশিক ক্ষমতা তুলে দেন তৎকালীন রাজা।

১৯৯৯: সীমিত পরিসরে সম্প্রচারমাধ্যম ও ইন্টারনেট সেবা চালু হয়। বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দেয় দেশটির সরকার। 

২০০৭: ভারতের সঙ্গে একটি ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষর করে। এর মাধ্যমে প্রতিবেশি দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক নতুন রূপ লাভ করে। ভুটানের পররাষ্ট্র এবং প্রতিরক্ষা নীতিতে ভূমিকা রাখার সুযোগ পায় দিল্লি।

২০১৩: বহুল প্রশংসিত ‘গ্রস ন্যাশনাল হ্যাপিনেস’ এর সমালোচনা করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে। তিনি বলেন, এই কনসেপ্টের বহুল ব্যবহারের কারণে ক্রমবর্ধমান ঋণ, দীর্ঘস্থায়ী বেকারত্ব, দারিদ্র্য ও দুর্নীতির মত্যে বিষয়গুলো চাপা পড়ে যায়।

Source link

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Stream TV Pro News - Stream TV Pro World - Stream TV Pro Sports - Stream TV Pro Entertainment - Stream TV Pro Games - Stream TV Pro Real Free Instagram Followers PayPal Gift Card Generator Free Paypal Gift Cards Generator Free Discord Nitro Codes Free Fire Diamond Free Fire Diamonds Generator Clash of Clans Generator Roblox free Robux Free Robux PUBG Mobile Generator Free Robux 8 Ball Pool Brawl Stars Generator Apple Gift Card Best Android Apps, Games, Accessories, and Tips Free V Bucks Generator 2022