খেলা

ফুলবাড়ীতে বাণিজ্যিকভাবে তেজপাতা চাষে লক্ষাধিক টাকা আয়

জুমবাংলা ডেস্ক : দেশের শস্যভান্ডারখ্যাত দিনাজপুর জেলা। এই জেলার ১৩ উপজেলার জমিতে কৃষকরা সাধারণত ধান, ভুট্টা ও বিভিন্ন রবিশস্য চাষাবাদ করে থাকেন। জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার কৃষকরাও বছর জুড়ে তাদের জমিতে তিন ফসল চাষাবাদ করেন। এরই মধ্যে উপজেলার খয়েরবাড়ী ইউনিয়নের আকিলাপাড়া গ্রামের নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রহমত আলী ১ একর ২০ শতক জমিতে তেজপাতা বাগান করে এলাকায় সাড়া ফেলেছেন। বাগান থেকে বছরে তিনি লক্ষাধিক টাকার তেজপাতা বিক্রি করছেন।

জানা যায়, রহমত আলী ২০০৯ সালে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর পিটি অফিসারের পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। এরপর নিজ গ্রামের বাড়ি আকিলাপাড়ায় অবসর জীবনযাপনের পাশাপাশি শুরু করেন বিভিন্ন প্রকার ফসল ও শাকসবজি চাষাবাদ। এ সময় তেজপাতার ক্রমান্বয়ে চাহিদা বৃদ্ধিসহ দাম বাড়তির কথা চিন্তা থেকে ২০১৭ সালে এক একর ২০ শতাংশ জমিতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে শুরু করেন তেজপাতা বাগান তৈরি। এতে ৮০০ তেজপাতা গাছের চারা রোপণ করেন। এর দুই বছরের মধ্যেই প্রত্যেকটি গাছে ব্যাপকহারে পাতা হওয়ায় তা সংগ্রহ এবং বাজারজাত করা শুরু করেন।

তেজপাতা বাগান মালিক রহমত আলী বলেন, একেক জন একেক ধরনের ফসল ও শাকসবজি চাষাবাদ করে থাকেন। চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার পর নিজ বসতবাড়ির আশপাশের জমিতে বিভিন্ন ফল ও ফুলের চাষ শুরু করেন। এর মধ্যে একটি তেজপাতার গাছের চারাও লাগান। পরবর্তী সময়ে তেজপাতার গাছের বাগান করার ইচ্ছায় এক একর ২০ শতাংশ জমিতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ৮০০ তেজপাতা গাছের চারা রোপণের মাধ্যমে তেজপাতা বাগান গড়ে তোলেন। বাগান তৈরিতে চারা কেনা থেকে রোপণ এবং গাছের যত্ন এবং সার, কীটনাশক ওষুধ ও বাগান শ্রমিক সব মিলিয়ে খরচ হয় প্রায় ৫ লাখ টাকা। ২০২০ সাল থেকে প্রত্যেকটি গাছে ব্যাপকহারে তেজপাতা উৎপাদন হওয়া শুরু হলে ঐ বছরেই বাণিজ্যিকভাবে বাজারে বিক্রি শুরু করা হয়। কিন্তু গাছের তেজপাতা সেই সময় তেমন বিক্রি না হলেও পরবর্তী সময়ে গত বছর ২০২২ সালে একই বাগান থেকে তেজপাতা বিক্রি হয়েছে ১ লাখ টাকার। তবে এ বছর অন্তত দেড় লাখ টাকার তেজপাতা বিক্রি হতে পারে।

তিনি জানান, ফুলবাড়ীতে তেজপাতা বাগান আছে এবং এখানে তেজপাতা উৎপাদিত হয় এটি ব্যবসায়ীরা না জানায় উৎপাদিত তেজপাতা বাজারজাত করতে বেশ সমস্যা হচ্ছে। এ ব্যাপারে সরকারি কৃষি বিভাগের সহায়তা পাওয়া গেলে তেজপাতা বাজারজাত করা সহজ হবে। বাজারজাত করা সহজ ও দাম ভালো পাওয়া গেলে ভবিষ্যতে উপজেলায় ব্যাপকহারে তেজপাতা বাগান গড়ে উঠবে।

কৃষি বিভাগ জানায়, মসলা ও ঔষধি গুণে সমাহার তেজপাতা চাষে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। চারা রোপণের দুই থেকে আড়াই বছরের মধ্যে তেজপাতা সংগ্রহ করা যায়। আর বছরে সংগ্রহ করা যায় দুই থেকে তিন বার। বর্তমানে বাজারে এক কেজি কাঁচা তেজপাতা ১১০-১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রুম্মান আক্তার জানান, রহমত আলীর তেজপাতা বাগানের সাফল্য এলাকার কৃষকদের মধ্যে বাগান করার প্রেরণা দিচ্ছে। তেজপাতা উপজেলার মসলার চাহিদা মেটাতে ভূমিকা রাখবে। তিনি আরও জানান, সব ধরনের কৃষিতে উৎপাদন বৃদ্ধিতে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ কৃষকদের সার্বিকভাবে পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।

ব্যাংকের আমানতকারীদের জন্য সুখবর আসছে

Source link

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Stream TV Pro News - Stream TV Pro World - Stream TV Pro Sports - Stream TV Pro Entertainment - Stream TV Pro Games - Stream TV Pro Real Free Instagram Followers PayPal Gift Card Generator Free Paypal Gift Cards Generator Free Discord Nitro Codes Free Fire Diamond Free Fire Diamonds Generator Clash of Clans Generator Roblox free Robux Free Robux PUBG Mobile Generator Free Robux 8 Ball Pool Brawl Stars Generator Apple Gift Card Best Android Apps, Games, Accessories, and Tips Free V Bucks Generator 2022