
বাংলাদেশ দলে ভাঙ্গনের সুর! বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছেনা টাইগারদের
বাছাই পর্বে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হারের পর থেকেই শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। বিশেষ করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি দারুণ ক্ষিপ্ত ক্রিকেটারদের ওপর। অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহও তার বক্তব্যে ভীষণ চটেছেন। এক কথায় বোর্ড কর্তা ও টাইগার অধিনায়ক এখন মুখোমুখি অবস্থানে। কোন রকমে বাছাই পর্বের গণ্ডি পেরিয়ে বাংলাদেশ দল এখন সংযুক্ত আরব আমিরাতে টি-টোয়ন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে মিশন শুরু করেছে। বিশ্বকাপের সেমিতে জায়গা করে নেয়ার প্রথম লড়াইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৭২ রানের লক্ষ্য দিয়েও জয় ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে রিয়াদরা। এই হারের জন্য লিটন দাসের দুটি ক্যাচ ছাড়াও অধিনায়ক মাহমদুল্লাহ রিয়াদের দুর্বল নেতৃত্বকে দায়ী করছেন বিসিবি পরিচালক থেকে শুরু করে ক্রিকেটভক্তরা।
তবে এর বাইরেও হারের নতুন আরেকটি দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরলেন সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক দীর্ঘ পোস্টে খেলোয়াড়দের দায়ের পাশাপাশি টিম ম্যানেজমেন্ট তথা প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর কিছু ভুলের দিকও তুলে ধরেছেন ম্যাশ। ঝেড়েছেন বর্তমান কোচিং প্যানেলের প্রতি নিজের তীব্র ক্ষোভও। ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলিতে অধিনায়কের সাথে কোচের বোঝাপড়ার তীব্র অভাব টের পেয়েছেন মাশরাফী, দিয়েছেন এর যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যাও।
মাশরাফি বলেন “এখন টিম ম্যানেজমেন্ট দেখলে মনে হয় একটা রিহ্যাব সেন্টার, যেখানে সাউথ আফ্রিকার সব চাকরি না পাওয়া কোচগুলো একসাথে আমাদের রিহ্যাব সেন্টারে চাকরি করছে। এদের বাদ দেওয়া আরও বিপদ, কারণ চুক্তির পুরো টাকাটা নিয়ে চলে যাবে। তাহলে দাঁড়াল কি, তারা যতদিন থাকবে আর মন যা চাইবে, তাই করবে।”
এদিকে প্রেস কনফারেন্সে সমালোকদের কড়া জবাব দিয়েছেন মুশফিক। তিনি বলেন, “যারাই এমন কথা বলেন, তাদের নিজেদের মুখটা একটু আয়নায় দেখা উচিত। কারণ, তারা বাংলাদেশের হয়ে খেলেন না, আমরাই খেলি। শুধু আমি না, ১৬ বছর ধরে যারা খেলছেন কিংবা তারও আগে থেকে, সবাই কিছু করার চেষ্টা করেছেন। তবে দিনের শেষে আমরা দেশের প্রতিনিধিত্ব করি, আমাদের কাছে সবচেয়ে গর্বের বিষয় এটিই।”
প্রথমে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ তাদের সমালোচানা নিয়ে মুখ খোলেন। তিনি জানিয়েছেন এমন বাইরে থেকে সমালোচনা-কথা তারা মেনে নিতে পারছেন না। সেটি ক্রিকেট ভক্তই হোক আর বিসিবি কমকর্তা।
অন্যদিকে লিটনকে দোলে রাখা প্রসঙ্গে পাকিস্তানি কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরাম বলেছেন, ‘বাছাইপর্ব থেকেই লিটনকে ঘুমিয়ে থাকতে দেখা গেছে। বাছাইয়ের কোনো ম্যাচে সে রান করতে পারেনি। ফিল্ডিংটাও ভালো করছে না। আমি জানি না কেন তাকে এই দলটাতে রাখা হয়েছে।’
তবে বিশ্বকাপের সবচেয়ে চিন্তার বিষয় কোনোরকম সমালোচনাই সহ্য করতে পারছেন না বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা । যে কারণে দলের মধ্যে কোচের সঙ্গে যেমন দূরত্ব বাড়ছে তেমনি বিসিবি পরিচালক থেকে শুরু করে সভাপতি সবার সঙ্গে বাড়ছে মান-অভিমান। যা ভয়াবহভাবেই প্রভাব ফেলছে ক্রিকেটারদের বিশ্বকাপ পারফরম্যান্সে।