
বিদ্রোহীদের চ্যালেঞ্জের মুখে নৌকার প্রার্থীরা
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে ১১টিতে ক্ষমতাসীন দলের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা একই দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন। এর মধ্যে অন্তত ছয়টি ইউনিয়নে বেকায়দায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। তবে কয়েকটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বীদের প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়ায় নির্বাচনে সহিংসতার আশঙ্কা করছেন বিদ্রোহীরা।. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .
প্রার্থীরা পরস্পরের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করে যাচ্ছেন। এ ছাড়া হুমকি-ধমকির অভিযোগও রয়েছে। এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো ঘটনা না ঘটলেও নির্বাচনে জবরদখল ও অস্ত্রবাজির আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না অনেক প্রার্থী। বিশেষ করে দক্ষিণ বাঁশখালীর গণ্ডামারা, শেখেরখীল, ছনুয়া, শিলকূপ ও বৈলছড়ি ইউনিয়ন এই ঝুঁকিতে রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, এসব এলাকায় সাগরে দস্যুতার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহার করতে চাইছেন কোনো কোনো প্রার্থী।
জানতে চাইলে নির্বাচনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খোন্দকার মাহমুদুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ রয়েছে। এ পর্যন্ত বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে ২৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীকে জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে বেশকিছু নির্বাচনী ক্যাম্প ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তবে সার্বিক পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত শান্ত রয়েছে।
বাঁশখালীর ১৩ ইউনিয়নের মধ্যে ১১টিতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। ইতিমধ্যে ১৫ বিদ্রোহী প্রার্থীকে দলটি সাময়িক বহিষ্কার করেছে। কিন্তু তারপরও দমে যাননি বিদ্রোহীরা। দলীয় প্রার্থীকে চ্যালেঞ্জ করে নির্বাচনী মাঠে সরব তাঁরা।
পুকুরিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বোরহান উদ্দীন মাহমুদ নেওয়াজকে চ্যালেঞ্জ করে প্রার্থী হয়েছেন সদ্য বিদায়ী দক্ষিণ জেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক আকতার হোছাইন। এখানে এমনিতে বর্তমান চেয়ারম্যান বিএনপির আসহাব উদ্দিন। আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থীর রেষারেষিতে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন তিনি।