বিনোদন ডেস্ক : টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় (Subhashree Ganguly) একটি পরিচিত নাম।খুব অল্প বয়সে নামজাদা নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন বুকে নিয়ে ছোট শহর বর্ধমান থেকে স্বপ্নের শহর কলকাতায় পা রেখেছিলেন তিনি। ‘পিতৃভূমি’ ছবি থেকেই শুরু টলি পাড়ায় যাতায়াত। সময়ে সময়ে ‘হার্টথ্রব’ থেকে হয়ে উঠেছেন সবথেকে বেশি পারিশ্রমিক নেওয়া বাংলা অভিনেত্রী। কমার্শিয়াল ছবির নায়িকা থেকে তিনি এখন ‘পরিণীতা’। কারণ বর্তমানে নানা গবেষণামূলক চরিত্রে অভিনয় করে তিনি মন জয় করেছেন দর্শকদের। তবে শুধু অভিনয় নয়, স্বামী ছেলেকে নিয়ে চুটিয়ে সংসারও করেছেন অভিনেত্রী। আর সেই কারণেই রাজ-শুভশ্রীর দাম্পত্য ইতিমধ্যে বহুল প্রচারিত।
এদিকে বরাবর তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কৌতূহল থাকে ভক্তদের মনে। তারা কি খান, কি পরেন, কিভাবে জীবনযাপন করেন, তাদের পছন্দের বিষয় কি- এসব প্রশ্নে প্রায়ই মশগুল হন ভক্তরা। তবে এবার ভক্তদের এরকম কিছু প্রশ্ন নিজেই অকপটে দিয়ে দিলেন রাজ-ঘরণী। সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেল থেকে এমনই এক প্রশ্ন উত্তরের ভিডিও পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী, যেখানে তাকে কোনো এক ব্যক্তি ইংরেজিতে প্রশ্ন করছেন, অন্যদিকে সেইসব প্রশ্নের উত্তর সৎভাবে দিয়ে চলেছেন অভিনেত্রী। আর এই প্রশ্ন উত্তরের মাঝেই জীবনের এই সিক্রেট ফাঁস করলেন পর্দার ইন্দুবালা।
এই ভিডিওতে অভিনেত্রী বলেন যে একটি মানুষের মধ্যে তিনি প্রথমেই তার আবহ এবং ফিলিংস বিচার করেন। এছাড়াও তিনি বলেন যে শেষবার তিনি দেখেছেন নিজের অভিনীত ‘ইন্দুবালা ভাতের হোটেল’ ওয়েবসিরিজটি। এই উত্তর দিয়ে এই সিরিজ দেখার অনুরোধও করেন তিনি অনুরাগীদের। পাশাপাশি রাজ-ঘরণী জানান যে শেষবার তিনি নিজের মোবাইলে তাদের পরবর্তী ছুটি কাটানোর ঠিকানার বিষয়ে সার্চ করেছেন। এছাড়াও স্বামীর একটি ছবিতে চুমু খেয়ে অভিনেত্রী জানান যে একমাত্র রাজ চক্রবর্তীর (Raj Chakraborty) সঙ্গেই তিনি আবার কাজের কোলাবরেশন করতে চান। তবে শেষ প্রশ্নে হোঁচট খান অভিনেত্রী। নিজের ‘গোপন ট্যালেন্ট’-এর কথা তিনি যেমন নিজেও বলতে পারেননি তেমনই স্বামীকে জিজ্ঞেস করলে তিনিও ঘাড় নেড়ে জানান যে তিনিও এই বিষয়ে জানেন না। তারপরই একসাথে হেসে ফেলেন দুজনে।
ভিডিওটি নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেল থেকে ভিডিওটি পোস্ট করেন। ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘আমি খুবই বর্বরতার সঙ্গে সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি, তাইনা!’। তবে ভিডিওর কমেন্ট বক্সে ভালোবাসা ঢেলে দিয়েছেন তার অনুরাগীরা। একজন লিখেছেন, ‘শেষেরটা দারুন কিউট ছিল’; অন্যজন আবার লিখেছেন, ‘আপনি যে প্রতিবার সামনে এসে আমাদের মুগ্ধ করেন, এটাই আপনার গোপন ট্যালেন্ট’।
