
সবুজ উইকেটে একাদশ সাজাতে ব্যার্থ বাংলাদেশ
শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামের উইকেট দূর থেকে দেখেই বোঝা যাচ্ছিল উপরে সবুজ ঘাসের আস্তরণ! এটি যে পেসারদের স্বর্গ তা সহজেই বোঝা যাচ্ছিল। কিন্তু উইকেট বুঝতে পারল না কেবল দলের সঙ্গে থাকা অভিজ্ঞ টিম ম্যানেজমেন্ট। সে কারণে পেসারদের আদর্শ উইকেটে একাদশ সাজানো হলো দুই পেসারকে দলের বাইরে রেখে।
এমন একটি উইকেটে বড় চমক হচ্ছে, একাদশে কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমানের অনুপস্থিতি। সুযোগ দেওয়া যেত রুবেল হোসেনকেও। আবুধাবির সবুজ উইকেটে টিম ম্যানেজমেন্টের এই অদ্ভুত চিন্তার কারণে একটা আফসোস থেকেও গেল। অবশ্য বাংলাদেশ দল যে ব্যাটিং করেছে এরপর আর ভক্তদের হা-হুতাশ করার কিছু নেই। উইকেট বিলিয়ে দেওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমে ৮৪ রানেই অলআউট।
তবে বাস্তবতাও মেনে নিয়েছেন ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা তাসকিন বলেন, ‘দিনশেষে ম্যাচ জিততে না পারলে খারাপ লাগে। দুর্ভাগ্যবশত ভালো সংগ্রহ হয়নি। কিছু ম্যাচ হারাতে আমরা তো ব্যাকফুটে। ব্যাটিং ইউনিটের আত্মবিশ্বাস কম থাকার কারণে হয়তো ভালো হয়নি। যদিও ওরা খুব ভালো বোলিং করেছে। কিন্তু ভালো পুঁজি দাঁড় করাতে না পারায় ম্যাচটা হেরে গিয়েছি।’
সবুজ উইকেট দেখেও কেন দলে মাত্র দুজন পেসার? এমন দিনেই কেন দলের সেরা পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে বাদ দেওয়া হলো একাদশ থেকে? প্রশ্নগুলোর কোনো উত্তর নেই তাসকিনের কাছে, ‘একাদশ সাজানো তো আমাদের হাতে নেই। দিনশেষে যে দল দেওয়া হয় তা নিয়েই আমরা খেলার চেষ্টা করি। দল সাজানো পুরোপুরি টিম ম্যানেজমেন্টের হাতে। আমরা আসলে দিনশেষে যারা মাঠে নামি, তারা সবার সেরাটা দেই। এই দল নিয়েই চেষ্টা করি।’
যেখানে নামিবিয়ার মতো দল প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে এসে ম্যাচও জিতেছে। সেখানে বাংলাদেশ কেন একটি ম্যাচেও জিততে পারছে না? তারপরও এই আসরে বাংলাদেশকে সবচেয়ে খারাপ দল বলতে রাজি নন তাসকিন। তিনি বলেন, ‘দুইটা জেতা ম্যাচ জিততে পারলে অনেক কিছুই মনে হতো না। সহজ দুটা ম্যাচ হারাতে সবকিছু আমাদের বিপক্ষে মনে হচ্ছে। ব্যাটিং ক্লিক করেনি কিছু ম্যাচে, এজন্য অনেক কিছু মনে হচ্ছে। যেটা চলে গেছে ওটা তো ফেরত আনতে পারব না। সামনে একটা ম্যাচ আছে, যতটা ভালো খেলা যায় চেষ্টা করব।’