
হ্যাটট্রিক শব্দটি কোথা থেকে এল?
শেফিল্ডের হাইড পার্কে অল-ইংল্যান্ড একাদশের হয়ে ১৮৫৮ সালে এইচ এইচ স্টিফেনসন একটা কাণ্ডই করে ফেললেন। পর পর তিন বলে তিনি তুলে নিলেন প্রতিপক্ষের তিন তিনটি উইকেট। তখনও আঁতুরঘরে থাকা ক্রিকেটে এ এক অভূতপূর্ব ঘটনা। পেশাজীবীদের অসাধারণ অর্জনকে স্মরণীয় করে রাখতে কিছু একটা উপহার দেওয়ার তত্কালীন রীতি অনুযায়ী স্টিফেনসকে একটি টুপি বা হ্যাট উপহার দেয়া হলো। সেই উপহারের হ্যাটই শুরু করলো ক্রিকেটের নতুন এক অধ্যায়ের। সেই নতুন অধ্যায়ের নাম ‘হ্যাট’ এর ‘ট্রিক’ বা হ্যাটট্রিক।
শব্দটির জন্ম ক্রিকেটে হলেও হ্যাটট্রিক এখন শুধু আর ক্রিকেটীয় সম্পত্তি নয়। ফুটবল, হকি, ওয়াটার পোলো, হ্যান্ডবলসহ আরও অনেক খেলায় বহুল ব্যবহূত হচ্ছে শব্দটি। হ্যাটট্রিককে একজন বোলারের বিরল অর্জন হিসেবেই দেখা হয়। টেস্ট এবং ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক মুত্তিয়া মুরালিধরনের আক্ষেপ বলতে ওই এক হ্যাটট্রিকই রয়ে গেছে। এ থেকেই বোঝা যায় একটা হ্যাটট্রিক একজন বোলারের কাছে কতটা আরাধ্যের।
সবচেয়ে বিচিত্র হ্যাটট্রিকটির মালিক মার্ভ হিউজ। ১৯৮৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার হিউজ তাঁর হ্যাটট্রিকের প্রথম উইকেটটি পান ওভারের শেষ বলে। পরের ওভারের প্রথম বলেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের দশম উইকেটটি তুলে নিয়ে ইনিংসের সমাপ্তি ঘটান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংসে হিউজ বোলিংয়ে এসেই প্রথম বলেই তুলে নেন গর্ডন গ্রিনিজের উইকেট। দুটি ভিন্ন ইনিংস এবং তিন ওভারের সমন্বয়ে সম্পূর্ণ করেন এক বিচিত্র হ্যাটট্রিক!